হেমন্তের নবান্ন – লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
হেমন্তের নবান্ন
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবু
হিম কুয়াশায় ভোর বিহানে
রবির চোখে ছানি,
ঘাসের সাথে আবছা আলো
করছে কানা কানি।
শীত আসে নাই তা জানি ভাই
আমেজ তবু শীতের,
হেমন্তের এই নবান্নতে
কী আনন্দ গীতের!
বঙ্গ মাতার ছাতার তলে
সোনালী ধান হাসে,
কিষাণ বধূ মনের পাতায়
নতুন ছবি আঁকে।
পল্লী মায়ের আঁচল বাঁধা
কান্না হাসির গান,
হৃদয় কাড়া মূর্চ্ছনাতে
শহর মারে টান।
লেখক পরিচিতি:
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
( শিক্ষক, কবি,কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
ই-মেইল : lionganibabul@gmail.com
ফোন : ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮
- Published in কবিতা
আপনজন – লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
আপনজন – লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবু
চেনা মানুষের অচেনা আচরণ
ভীষণ যাতনা যন্ত্রণার কারণ,
ভালবাসার কথা বলে হয় ছলনা
অশ্রুতে অনল নেভানো যায় না।
অপরের চেয়েও বেশি ভয়ঙ্কর
আপন যখন হয়ে যায় পর,
বুকের গহিনে অনিষ্ট চিন্তা যার
সে তো আপন নয় শুধু চিৎকার।
আপনজন আনন্দ নিয়ে আসে
সুখে অসুখে থাকে পাশে,
নিজেকে বিলিয়ে পরকে করে আনন্দিত
আপনজন সবসময় নয় জননন্দিত।
আপনজন শক্তি সাহস প্রেরণা
ত্যাগের মানসিকতা সদাচার উদারতা,
আপনজন পরস্পর বিবাদ নয়
সুখ শান্তি সফলতা আসবে নিশ্চয়।
লেখক পরিচিতি:
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
(শিক্ষক, কবি, কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (কৃষি) কেন্দ্রীয় কমিটি
যুগ্মমহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), কেন্দ্রীয় কমিটি
ফোন: ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮
E-mail:lionganibabul@gmail.com
- Published in কবিতা
হেমন্ত-লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
হেমন্ত
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
হেমন্তে শিশির ভেজা সকাল
সূর্যের আলো ঝিলমিল করে,
শেষ রাতে কুয়াশা পড়ে
শীতের আমেজ ভোরের বাতাসে।
শরতের শেষে হেমন্ত আসে
কাঁচা-পাকা ধান আনন্দে হাসে,
অবনত বঙ্গ বধুর বেশে
নবান্ন তোলে হেসে হেসে।
বিকেলে পাখিরা সব কলরব করে
সন্ধ্যায় তারা ঘরে ফেরে,
ঝিঁঝিঁ পোকা গান করে
পল্লী বাংলা বুক চিরে,
হেমন্তে আনন্দ নদীর তীরে
অপরূপ সৌন্দর্য বহন করে।
পরিচিতি:
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
( শিক্ষক, কবি, কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
ফোন: ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮
E-mail: lionganibabul@gmail.com
- Published in কবিতা
নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা- লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
উপসম্পাদকীয়:
নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবু
টেকসই উন্নয়নের জন্য নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। দেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে চলছে। কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা কমানো যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও এখনো দুর্ঘটনার লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়নি।
২২ অক্টোবর ২০১৭ সাল থেকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে সরকারি উদ্যোগে জাতীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে। প্রতিবছর সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ও বিভিন্ন সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি পালন করে থাকে। এ বছর ২২ অক্টোবর (বুধবার) নবমবারের মতো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মানসম্মত হেলমেট ও নিরাপদ গতি, কমবে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি’।
সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণগুলো হচ্ছে, চালকদের অদক্ষতা, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, মোটরসাইকেল চালানোর সময় হেলমেট ব্যবহার না করা। ওভারটেকিং করার প্রবল মানসিকতা, ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্তিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব, জনগণের সচেতনতার অভাব, ট্রাফিক আইন না মানা ইত্যাদি। সড়ক দুর্ঘটনার অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে, অনেক সড়ক-মহাসড়ক পরিকল্পনাহীনভাবে নির্মাণ, নির্দিষ্ট লেন ধরে গাড়ি না চালিয়ে সড়কের মাঝখান দিয়ে গাড়ি চালানোর প্রবণতা, রাস্তায় বিপজ্জনক বাঁক বিদ্যমান থাকা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো, মাদকসেবন করে গাড়ি চালানো, ভুল পথে গাড়ি চালানো, রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রী বা পথচারীদের ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, ফুটপাত ব্যবহার না করে রাস্তার মাঝখান দিয়ে পথচারীদের চলাচল, রাস্তা পারাপারের জন্য ওভারব্রিজ থাকলেও তা ব্যবহার না করা, রাস্তার উপর বা ফুটপাতে দোকানপাট সাজিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা, দুর্বল ও দুর্নীতিগ্রস্ত ট্রাফিকব্যবস্থা এবং সর্বোপরি রাস্তায় চলাচলে বিদ্যমান নিয়ম-কানুন প্রতিপালনে যাত্রীদের অনীহা।
দেশে যেভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে, তাতে সড়ক মহাসড়কগুলো দিন দিন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে এখন চলাচল করা মানেই নিজের জীবনবাজি রেখে চলাচল করা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) মতে গত দুই দশকে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫৬ হাজার ৯৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ গত ২০ বছরে প্রতিদিন গড়ে ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়।
স্বাস্থ্য খাতের ওপর চাপ কমাতে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা জরুরি। দেশের চিকিৎসা ব্যয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনাকবলিত রোগীদের পেছনে ব্যয় হয়। সড়ক নিরাপদ করা গেলে স্বাস্থ্য খাতের বাজেটের ওপর চাপ কমবে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত হলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমবে। ফলে হাসপাতালে রোগীদের সেবার মানও বাড়ানো সম্ভব হবে।
এআরআই জানিয়েছে ৮০ শতাংশ দুর্ঘটনার জন্য চালকরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী। দেশের সড়ক দুর্ঘটনা এবং এর প্রভাবে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ বছরে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এসব দুর্ঘটনার কারণে বছরে মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) দুই থেকে তিন শতাংশ হারাচ্ছে বাংলাদেশ। সড়ক দুর্ঘটনায় জানমালের ক্ষতি ও দুর্ঘটনা থেকে সৃষ্ট যানজট দেশের অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার পদক্ষেপ নিলেও সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাব ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বহীনতার অভাব এর কারণে এক্ষেত্রে আশানুরূপ অগ্রগতি হচ্ছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণায় বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কগুলোতে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা প্রণয়ন এবং চালকদের দক্ষতা বাড়াতে তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব নয়। ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও সচেতনতার ওপর জোর দিতে হবে। গতি নিয়ন্ত্রণ, গতি পর্যবেক্ষণের আধুনিক স্পিড ক্যামেরা স্থাপন, মহাসড়কে নজরদারির জন্যে স্থায়ী লোকবল নিয়োগ এবং দুর্ঘটনার পর তৎক্ষণিক উদ্ধার ও সেবাদানের জন্য ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপন করতে হবে।
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে এবং নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্টদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে শুধু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তা কিন্তু নয়। একইসঙ্গে মানুষের শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এসব কারণে সড়ক দুর্ঘটনা এখন অন্যতম জাতীয় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সংগত কারণে এ সমস্যা সমাধানে সার্বিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
সড়ক দুর্ঘটনায় মানবসম্পদের বিনাশ সবচেয়ে বড় ক্ষতি। দুর্ঘটনাকবলিত একটি পরিবার দীর্ঘদিন ধরে অমানবিক কষ্ট ভোগ করে থাকে। তাদের এ ক্ষতি অপূরণীয়। অনেক ক্ষেত্রেই তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। আর যদি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি এরূপ দুর্ঘটনায় শিকার হয়, তাহলে এর প্রভাব হয় আরো দীর্ঘমেয়াদি। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে পরিবহন খাতের অবদান অনস্বীকার্য। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে দেশের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি বলা যায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, পরিবহন খাতের নিরাপত্তা আজও নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকারসহ সবাইকে সর্বাধিক সচেষ্ট থাকতে হবে।
দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে যেভাবে দুর্ঘটনা ঘটছে এবং দুর্ঘটনার সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা যদি অতি দ্রুত রোধ করার ব্যাপারে বাস্তবমুখী ও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় বা এ ব্যাপারে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা না হয়, তাহলে আগামীতে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এটা সত্য, আমাদের দেশের সড়ক ব্যবস্থাপনা তুলনামূলক নাজুক। একদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া! অন্যদিকে অদক্ষ চালককে গাড়ি চালানোর সুযোগ করে দিয়ে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ানো হচ্ছে। এদিকে ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে প্রতিপালন না করে এবং ফিটনেসহীন গাড়ি চালাতে দিয়ে সড়কের মড়কে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কোনো অসম্ভব কাজ নয়। এজন্য দরকার সরকার ও জনগণের ইতিবাচক চিন্তা এবং সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার যথোপযুক্ত বাস্তবায়ন। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সর্বাগ্রে চালকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। প্রশিক্ষণের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করে চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনার লাগাম অনেকাংশে টেনে ধরা সম্ভব হবে। এছাড়া ট্রাফিক আইন সম্পর্কে চালকসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি জনগণকেও ট্রাফিক আইন ও রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের লক্ষ্যে প্রণীত আইন-কানুন যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। মাদকসেবন করে যাতে চালকরা গাড়ি চালাতে না পারে, সেজন্য নিয়মিত বিরতিতে চালকদের ডোপ টেস্ট করতে হবে। গাড়ি চালানো অবস্থায় চালকদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। নিয়ন্ত্রিত বা নিরাপদ গতি সড়কে চলাচলরত যানবাহন ও যাত্রীদের নিরাপত্তা অনেককাংশে নিশ্চিত করতে। সেই সাথে মোটরসাইকেল আরোহীগণ মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার করলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমে আসবে।
চালকদের গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তায় প্রয়োজনীয় গতি পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করতে হবে। দুর্ঘটনা রোধে চালকদের ওভারটেকিং করার মানসিকতাও পরিহার করা জরুরি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে দেশের সড়কব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন প্রয়োজন। অপ্রয়োজনীয় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করতে হবে। শুধু চালকদের দক্ষতা বিচার করে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করা জরুরি। এক্ষেত্রে যেন কোনো ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতি না ঘটে, সে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের থেকে নিশ্চিত করা আবশ্যক। সড়ক দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনা না করে কঠোর জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং নিরপেক্ষভাবে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। সড়কে শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা যেভাবেই হোক দ্রুত দূর করতে হবে।
দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিকে আরো বেগবান করতে এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য নিরাপদ সড়কের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সবার সদিচ্ছা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
লেখক পরিচিতি ঃ লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
(শিক্ষক, কবি, কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
যুগ্মমহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) কেন্দ্রীয় কমিটি
৭০, কাকরাইল, ঢাকা-১০০০।
ফোন ঃ ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮
ই-মেইল ঃ lionganibabul@gmail.com
- Published in উপসম্পাদকীয়
সত্যের বিজয়- লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
সত্যের বিজয়
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবু
অবিচার অনাচার ফেতনা ফ্যাসাদ
দুর্ভোগ দুর্গতি বাড়ছে দিনরাত,
চলছে অনিয়ম সাথে যাতনা
বাড়ছে সহ্য করার ক্ষমতা।
দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি যাচ্ছে বেড়ে
সমাজে সত্য চলে অবনত বেশে,
মিথ্যা এগিয়ে নানা অজুহাতে
যাতনার কবলে দেশ ধ্বংসের পথে।
দ্রব্যমূলের যাঁতাকলে দিশেহারা আমজনতা
শূণ্য হাঁড়ির হাহাকারে বাড়ছে মনে ব্যাথা,
কি খাবে না কি খাবে সারাক্ষণ তা ভেবে
কি যে জ্বালাতন বলবে কার কাছে ?
অনিয়ম সব দূরে ঠেলে মিলে মিশে পথচলা
জীবনে নিরন্তর সুখ শান্তি সফলতা,
সত্যের বিজয় মিথ্যার পরাজয় অবধারিত
মানবকল্যাণে কাজ জীবন হয় আলোকিত।
লেখক পরিচিত:
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
(শিক্ষক, কবি, কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (কৃষি)
সভাপতি, কবি সংসদ বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় কমিটি
ফোন: ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮
- Published in কবিতা
শিক্ষক- লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
শিক্ষক
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবু
দূর অন্ধকার নগরীর নিহত সভ্যতা
পূর্নজন্ম পেয়ে আজো নত শিরে
শ্রদ্ধা জানায়।
কাকে?
অনেক দূর্গম পাহাড়ের পথ বেয়ে
যে ঝর্ণা ধারা বয়ে যায়
তার কলধ্বনিতে আজো
কার কন্ঠ বাজে?
চৈত্রের দাবদাহ মাখা দুপুরে
পথিকের জন্য বটবৃক্ষের ছায়ার মতো
বঞ্চিতের গায়ে স্নেহের পরশ বুলায়
কে?
শেষ দিবসে রণ ক্লান্ত সূর্যের বিদায়ে
এই পৃথিবীর আর্তনাদে
কার বিরহ বাজে?
যে জন শিক্ষার আলো জ্বালে
সকাল-সাঝে মৃত্যুঞ্জয়ী সর্বক্ষণ
সেজন চিরঞ্জীব শিক্ষক,
সর্বজনে তা বলে।
লেখক পরিচিত:
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
( শিক্ষক, কবি, কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ( কৃষি)
সভাপতি, কবি সংসদ বাংলাদেশ, কেন্দ্রীয় কমিটি
E-mail:lionganibabul@gmail.com
ফোন: ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮
- Published in কবিতা
আদভিকার শুভ জন্মদিন -লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
আদভিকার শুভ জন্মদিন
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
বিশ সেপ্টেম্বর আদভিকার শুভ জন্মদিন
আলোকে আলোকে এই দিন হোক রঙিন,
জাফিরা সিনায়াত সানারী আদভিকা
তোমার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা
তোমার সুখী সুন্দর সমৃদ্ধ জীবন প্রত্যাশা,
পথচলা হোক নিরাপদ আনন্দময় শান্তিময়
তোমার মেধা মননে কর্মে করবে বিশ্বজয়।
লেখাপড়া করে কীর্তি-কর্মে জগৎ জুড়ে
মানবতার সেবায় জননন্দিত হও ঘরে ঘরে,
সুখে-দুঃখে অগ্রযাত্রায় সততার সাথে
প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাও সফলতার পথে।
পিতা-মাতার গর্ব ও গৌরবের সন্তান তুমি
তোমার আলোয় আলোকিত বাংলার ভূমি,
আমার আদরের নাতনী অনেক গুণে গুণাম্বিত
আমরা সবাই আনন্দিত ধন্য গৌরবাম্বিত।
লেখক পরিচিতি:
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
(শিক্ষক, কবি, কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
যুগ্মমহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), কেন্দ্রীয় কমিটি
ফোন: ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮

- Published in কবিতা
আদভিকার শুভ জন্মদিন -লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
আদভিকার শুভ জন্মদিন
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
বিশ সেপ্টেম্বর আদভিকার শুভ জন্মদিন
আলোকে আলোকে এই দিন হোক রঙিন,
জাফিরা সিনায়াত সানারী আদভিকা
তোমার জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা
তোমার সুখী সুন্দর সমৃদ্ধ জীবন প্রত্যাশা,
পথচলা হোক নিরাপদ আনন্দময় শান্তিময়
তোমার মেধা মননে কর্মে করবে বিশ্বজয়।
লেখাপড়া করে কীর্তি-কর্মে জগৎ জুড়ে
মানবতার সেবায় জননন্দিত হও ঘরে ঘরে,
সুখে-দুঃখে অগ্রযাত্রায় সততার সাথে
প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাও সফলতার পথে।
পিতা-মাতার গর্ব ও গৌরবের সন্তান তুমি
তোমার আলোয় আলোকিত বাংলার ভূমি,
আমার আদরের নাতনী অনেক গুণে গুণাম্বিত
আমরা সবাই আনন্দিত ধন্য গৌরবাম্বিত।
লেখক পরিচিতি:
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
(শিক্ষক, কবি, কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
যুগ্মমহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), কেন্দ্রীয় কমিটি
ফোন: ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮

- Published in কবিতা
ভিন্নমাত্রা লেখক সম্মাননা পেলেন লায়ন গনি মিয়া বাবু
ভিন্নমাত্রা লেখক সম্মাননা পেলেন লায়ন গনি মিয়া বাব
বিশিষ্ট সাহিত্যিক, কবি ও লেখক লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ‘ভিন্নমাত্রা লেখক সম্মাননা-২০২৫’ এ ভূষিত হয়েছেন। ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ভিন্নমাত্রা প্রকাশনীর চেয়ারম্যান কবি মাসুম বিল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে এই সম্মাননা সনদপত্র প্রদান করেন।
উল্লেখ্য যে, ভিন্নমাত্রা প্রকাশনী থেকে ২০২৫ সালে প্রকাশিত ৫০টি বইয়ের প্রকাশনা উৎসব ও বর্ষসেরা লেখক অ্যাওয়ার্ড, কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্যে স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল গত ২৯ আগস্ট (শুক্রবার) ঢাকার উত্তরাস্থ ক্যামব্রিয়ান কলেজ মিলনায়তনে। এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি অধ্যাপিকা আঙ্গুরা খাতুন, প্রধান অতিথি ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ভিসি প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক। প্রধান আলোচক ছিলেন সাবেক তথ্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখ্ত।
এই অনুষ্ঠানে বর্ষসেরা লেখক হিসেবে লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল-কে ‘ভিন্নমাত্রা লেখক সম্মাননা-২০২৫’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করার কথা থাকলেও অনিবার্য কারণবশত লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। কাজেই আজ ভিন্নমাত্রা প্রকাশনী থেকে ২০২৫ সালে প্রকাশিত কাব্য কুঞ্চে দশ গ্রন্থ উপলক্ষে তাকে উক্ত সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র প্রদান করা হয় এবং নির্ধারিত উত্তরীয় তাকে পরিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ৮০’র দশক থেকে জাতীয় সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ ও কলাম লিখে ইতিমধ্যে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছোটদের শিক্ষামূলক ছড়া ও গল্প, শুভ্রতা চলে গেছে নীড়ে, একটি কবিতা, ভালোবাসতে বাসতে, সিডর বিধ্বস্ত বকুলতলা, নীলজলে প্রেম, একটি বক্তৃতার পংক্তিমালা, নবম শ্রেণীর কৃষি শিক্ষা সহায়ক বই, কিছু কথা, কৃষি ডিপ্লোমা ভর্তি সহায়ক বই উল্লেখযোগ্য।
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ১৯৭১ সালের ৬ মে গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের টেপিরবাড়ী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ ইসমাইল হোসেন এর ঔরসে ও মহীয়সী নারী আয়েশা খাতুন এর গর্ভের গৌরবান্বিত সন্তান তিনি। তাঁর নিজ এলাকায় তিনি মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুলকলেজ, শিশু গণশিক্ষা কেন্দ্র, পাঠাগার প্রভৃতি জনহিতকর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি ১৯৮৭ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন। সংবাদপত্র ও সংবাদকর্মীদের পৃষ্ঠপোষকতায় তার রয়েছে বিশেষ অবদান। তিনি গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান উপদেষ্টা, গাজীপুর প্রেসক্লাবের অন্যতম দাতা সদস্য, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাথে তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে সক্রিয়ভাবে সংশ্লিষ্ট হয়েছেন। তিনি এই সংস্থার কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি, স্থায়ী পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বিভিন্ন সময়ে প্রশংসার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নিরাপদ নিউজের যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ সংবাদ এর সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর যুগ্মমহাসচিব হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন যাবত প্রশংসার সাথে স্বীয় দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কবি সংসদ বাংলাদেশ-এর সাথে প্রায় ২৫ বছর যাবত নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন। তিনি বর্তমানে কবি সংসদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি ২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কবি সংসদ বাংলাদেশের স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি কবি সংসদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি পদে স্বীয় দায়িত্ব প্রশংসার সাথে পালন করেছেন। পরবর্তীতে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত তিনি কবি সংসদ বাংলাদেশের স্থায়ী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লেখক উন্নয়ন কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক প্রদত্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেলভিন জোন ফেলো- এমজেএফ সম্মাননা পদকসহ শ্রেষ্ঠ সংগঠক হিসেবে দুই শতাধিক সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছেন। শিক্ষা বিস্তারে তার রয়েছে বিশেষ অবদান। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি অসহায় মানুষের সহায়তায় তিনি নিরলসভাবে কাজ করে আসছেন।
তিনি উক্ত সম্মাননায় স্মারকেভূষিত হওয়ায় বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
- Published in আজকের সংবাদ
প্রিয় রাসুল (সাঃ)- লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
প্রিয় রাসুল (সাঃ)
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
পৃথিবীতে অবিচার অনাচার যখন চলমান
ঝগড়া বিবাদ হিংসা বিদ্বেষ প্রবহমান,
প্রেম-প্রীতি ন্যায়-নীতি ভালোবাসা উপেক্ষিত
কুসংস্কারে আচ্ছাদিত মানবাধিকার ভূলন্ঠিত।
সকল আঁধার অন্ধকার দূরে ঠেলে
প্রিয় রাসুল (সাঃ) এলো মা আমিনার কোলে,
রহমতের ছায়ায় শীতল হলো দুনিয়া
সত্যের পথ দেখালো প্রিয় রাসুল (সাঃ) আসিয়া।
সকল আঁধার অন্ধকার কেটে গেল
ধরণী আলোকিত উজ্জীবিত হল,
পথভ্রষ্ট মানুষ সত্য পথে এলো
কল্যাণময় গ্রন্থ আল-কুরআন পেল।
মুহাম্মদ (সাঃ) সমগ্র বিশ্বের সব মানুষের নবী
রাহমাতুল্লিল আলামীন মুক্তির চাবিকাঠি,
রাসুল ( সা:) এর জীবনাদর্শ মেনে চলি
দুজাহানের সুখী সুন্দর সফল জীবন গড়ি।
লেখক পরিচিতি:
লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল
(শিক্ষক, কবি, কলাম লেখক, সমাজসেবক ও সংগঠক)
যুগ্মমহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা), কেন্দ্রীয় কমিটি
ফোন: ০১৫৫২৬৩১১১৮, ০১৮৪২৬৩১১১৮
E-mail:lionganibabul@gmail.com
- Published in কবিতা








